বঙ্গে সেভাবে দাপট দেখাতে পারেনি ‘জাওয়াদ’ । তবে বৃষ্টি থেকে রেহাই পাননি বঙ্গবাসী। শনিবার রাত থেকেই বৃষ্টিতে ভিজছে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। তাই হেলিকপ্টারের পরিবর্তে ট্রেনে করেই জেলাসফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে হাওড়া স্টেশন থেকে জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে করে রওনা হন তিনি।
বোলপুর স্টেশনে ট্রেন থামামাত্রই তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। চপ, মুড়ি ও মিষ্টি দলনেত্রীর হাতে তুলে দিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আজকে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গেলেন। সে কারণেই বোলপুর স্টেশনে জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ছিলেন। নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন বলে কথা। তাই তাঁর সঙ্গে দেখা করা একটা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। জেলাশাসক, প্রশাসনের তো আলাদা ব্যাপার।” ঠিক কী কথা হল দু’জনের? সে বিষয়ে দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার দাবি, কোনও কথাই হয়নি তাঁদের।
৭ ডিসেম্বর উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর যাবেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। ওইদিনই প্রথমে গঙ্গারামপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মমতা। এরপর যাবেন রায়গঞ্জে। সেখানেও প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। তার ঠিক পরেরদিন অর্থাৎ ৮ তারিখ মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মমতা। সেখানকার সমস্ত কাজের খতিয়ান নেবেন। কথা বলবেন জেলাশাসক, বিডিও ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে। ৯ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক করবেন নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। জেলাসফরের পর ফের তাঁর গোয়া এবং শিলং যাওয়ারও কথা।
বস্তুত, বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বার বিশাল জয় পেয়েছে তৃণমূল (TMC)। রাজ্যের সাধারণ মানুষ ফের আস্থা রেখেছেন মমতার উপর। সেই বিপুল ভরসাকে পাথেয় করে নতুন করে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করাই তাঁর লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় স্তরে তাঁর গুরুত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে সফর চলছে। তার মধ্যেও প্রশাসনিক কাজ পুরোদস্তুর চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই লক্ষ্যেই পাঁচ জেলা সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।